মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
ভিশন ডেক্স: রোহিঙ্গাদের নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচারের জন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত ক্ষমা চাওয়ার কোনো রেওয়াজ নেই। কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেশটি যে চাপে পড়েছে, সেনাবাহিনীর ক্ষমা চাওয়া তার বহিঃপ্রকাশ।এ সম্পর্কে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপত্র ‘দ্য মিয়াওয়াদি ডেইলি’সোমবার ‘মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ওয়ান’ শিরোনামের বইটিতে প্রকাশিত দুটি ছবির জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
২৭ আগস্ট জাতিসংঘের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে মিয়ানমারের জেনারেলদের গণহত্যা হিসেবে মন্তব্য করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মাথায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রকাশিত বইতে ইতিহাসের নির্লজ্জ মিথ্যাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান লাশের ঐতিহাসিক ছবি আর রুয়ান্ডার হুতি শরণার্থীদের তানজানিয়া যাত্রার ছবির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, ‘ছবি দুটি ভুল ছাপা হয়েছে। ওই ভুলের জন্য আমরা পাঠক ও ছবির স্বত্বাধিকারীদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ ছবি দুটি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চাওয়া হলেও ছবির ক্যাপশনের ভুলের জন্য কিছু বলা হয়নি।জুলাইয়ে ‘মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ওয়ান’ শিরোনামে ১১৭-পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জনসংযোগ ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিভাগ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের প্রধান বইয়ের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বইটি।ওই বইতে বাংলাদেশ ও তানজানিয়ার ছবি দুটিকে রোহিঙ্গাদের ছবি হিসেবে উপস্থাপন করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যেমন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান লাশের ঐতিহাসিক ছবিটিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বইতে ১৯৪০-এর দশকে বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞের ছবি বলা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে রুয়ান্ডার হুতি শরণার্থীদের তানজানিয়া যাত্রার ছবিকে উপস্থাপন করে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ উপনিবেশের পর বাঙালিরা (রোহিঙ্গা বোঝাতে) মিয়ানমারের নিম্নাংশে (রাখাইনে) প্রবেশ করে।